নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ২৮ জুলাই, ২০২০
পবিত্র ঈদুল আযহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে গরুর হাটে যেতে অনেকেই অনীহার মধ্যে রয়েছেন। সেইসাথে আর্থিক কারণে অনেকে কোরবানি দিতে পারছেন না। রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে সবখানেই এমন চিত্র। করোনা আর বন্যা সবকিছু মিলিয়েই এবার জমজমাট হচ্ছে অনলাইন পশুর হাট। তাছাড়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরে যাতে পশুর হাট বসানো না হয়, সেজন্য পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদেরও হাটে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে অনলাইন পশুর হাট-ই হয়ে উঠছে একমাত্র ভরসা। কিন্তু অনলাইনে পশু কেনায় বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বস্ত সাইট
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানান, শুধু ফেসবুক ভিত্তিক বা অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে গরু কেনার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নেয়া উচিত। বিশেষ করে বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে পশু ক্রয় করা উচিৎ। কোন ওয়েবসাইট থেকে কেনার আগে বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে দেখা উচিত। প্রয়োজন মনে করলে আগের ক্রেতাদের রিভিউ দেখা যেতে পারে। সেইসাথে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কিনা সেটাও দেখা উচিত। এতে করে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।
অর্থ লেনদেন
পেমেন্ট করার আগে শর্তগুলো ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। সেইসাথে বুঝে নেয়া উচিত কোরবানির জন্য কেনা পশু সুস্থ কিনা। এমন পরামর্শ দেন অনলাইন প্লাট ফর্মের সাথে যুক্ত থাকা বেশ কয়েকজন। সেইসাথে তাঁরা জানান, কি শর্তে কীভাবে গরু সরবরাহ করা হবে, সেগুলো বিশেষভাবে বুঝে নেয়া উচিত। প্রয়োজনে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ই-ক্যাবভুক্ত কোন সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সেক্ষেত্রে তাদের অ্যাসোসিয়েশন ব্যবস্থা নিতে পারবে। কিন্তু ই-ক্যাবভুক্ত নয়, এরকম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাদের করার কিছু থাকবে না।
ডেলিভারি চার্জ
অর্ডার চূড়ান্ত করার আগে ভিডিও কলে গরুটি দেখে নেওয়া উচিৎ। সেইসাথে কথা বলে নিতে হবে ডেলিভারি চার্জ সম্পর্কে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গরু সরবরাহের ক্ষেত্রে আলাদা ডেলিভারি চার্জ ধরে থাকে। তাই আগে থেকে সে বিষয়ে কথা বলে নেয়া ভালো। সেইসাথে ডেলিভারিতে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধান থাকায় গরুর ওজনের কম বেশি হতে পারে। এসব বিষয়ে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
ভালোভাবে যাচাই
যাচাইয়ের জন্য বিক্রেতার কাছ থেকে গরুর ছবি বেশি করে চেয়ে নিতে হবে। আরও ভালোভাবে দেখার জন্য সরাসরি গরু যাচাই করা যেতে পারে। কোন বিক্রেতা যদি গরু স্পষ্ট করে দেখাতে না চান। তাহলে সেরকম বিক্রেতাদের কাছ থেকে গরু না কেনাই ভালো। সেইসাথে পশুর অতিরিক্ত কম দাম যেমন সন্দেহজনক। তেমনি অতিরিক্ত দাম দিয়ে ঠকা থেকেও নিরাপদ থাকতে হবে। শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরেই দাম পরিশোধ করা উচিৎ। তাই এই সকল বিষয়ে ভাল করে যাচাই করে নিন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।